একটু ঢুকে বলরাম মল্লিকের বেকড রসগোল্লা! এবার কিন্তু টর্চার হয়ে যাচ্ছে শুধু হোর্ডিং দেখে দেখে। — চল চল, হবে ওসব। ভ্যাকসিন আসুক, আবার দল বেঁধে খেতে যাওয়া টাওয়া তখন। বাঁ হাতে বিড়লা সভাঘর ছাড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে এবার গুরুসদয় মোড়। রাস্তায় গাড়িঘোড়া প্রায় নেই বললেই চলে, হয়তো সময়টার জন্য। চল নন্দনে যাই, দেখে আসি কেমন আছে! — মা, মনে আছে, আমরা নন্দনে ‘অপুর পাঁচালী’ দেখেছিলাম দিদান‘কে নিয়ে?” রবীন্দ্রসদন, নন্দনের চত্বর আমার খুব প্রিয় জায়গা। ছোট ছোট জটলায় আড্ডা, লিটল ম্যাগাজিন, চা কফির ঠেক, বাটি–গরম ভাজা…। ওদিকে বাংলা পরিষদ, আর এদিক দিয়ে বেরিয়ে শর্টকাটে অ্যাকাডেমি। আজ সেসব কিছুই নেই, দু’দিকের গেট‘ই বন্ধ। অ্যাকাডেমির সামনে শুধু পুরনো নাটকের হোর্ডিং ঝুলছে, মোহরকুঞ্জ ফাঁকা জমি, আর দূরে ভিক্টোরিয়ার পরি একলা ডানা ঝাপটাচ্ছে। মনখারাপ করা চারপাশ, জায়গাগুলোকে উপভোগ করার উপায় নেই তাদের স্বমহিমায়, তবু দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো হাঁটার নেশায় পেয়েছে আমাদের। হাঁটতে হাঁটতে খেয়ালই হয়নি দু’জনের, কখন পার্কস্ট্রিট চলে এসেছি। পিটার ক্যাটের সামনে আজ কোনও লাইন নেই, গতবার দেড় ঘন্টা ওয়েটিয়ের পরে টেবিল পেয়েছিলাম।