আফগানিস্তান থেকে এর মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার পেন্টাগনের সেন্ট্রাল কমান্ড এ কথা জানিয়েছে। সেন্টকম জানায়, সেপ্টেম্বরের সময়সীমার আগেই সৈন্য প্রত্যাহারের কাজ শেষ করতে তারা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে সাবেক সাতটি মার্কিন ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে। তারা সেখান থেকে অধিকাংশ মালামালও সরিয়ে নিয়েছে।
গত শুক্রবার মার্কিন বাহিনী কাবুলের উত্তরে অবস্থিত সবচেয়ে বড় বাগরাম বিমানঘাঁটি আফগান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। গত দুই দশকের সংঘাতের অধিকাংশ সময় এ বিমানঘাঁটি ছিল আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক অভিযান পরিচালনার প্রধান কেন্দ্র। আজ মঙ্গলবারের ঘোষণায় জোর দিয়ে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশমতো মার্কিন সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক প্রত্যাহারের অধিকাংশ প্রক্রিয়া গত এপ্রিলে সম্পন্ন করা হয়েছিল। বাইডেনের নির্দেশের সময় সেখানে সরকারিভাবে আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্য এবং ১৬ হাজার বেসরকারি ঠিকাদার ছিলেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সময় সরকারি হিসাবের বাইরে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর প্রায় এক হাজার সদস্য আফগানিস্তানে কর্মরত ছিলেন। এদিকে বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সৈন্য সরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রে আফগানভিত্তিক আল-কায়েদা হামলার ২০তম বার্ষিকী সেপ্টেম্বরের একটি সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় পেন্টাগন এ মাসে সেখানে তাদের উপস্থিতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনতে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আর এ ভয়াবহ জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করেই আফগানিস্তানে আমেরিকান আগ্রাসন শুরু হয়।
বাগরাম বিমানঘাঁটি হস্তান্তরের পর হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি সাকি গত শুক্রবার বলেন, ‘আগস্টের শেষ নাগাদ আমাদের সৈন্য প্রত্যাহারের কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।’
এদিকে মার্কিন দূতাবাস ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আফগানিস্তানে সাড়ে ছয় শ বা এর বেশি সৈন্য রাখার আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : বাসস
নাটোরের বড়াইগ্রামে মহাজনের টাকা পরিশোধের চাপে বাধ্য হয়ে ২২ দিন বয়সী শিশু কন্যাকে বিক্রি করে দিয়েছেন ভ্যানচালক বাবা। গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন গ্রামে এক লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রির ঘটনা ঘটে।সোমবার এ ঘটনা প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। হতভাগা শিশু চাঁদনী খাতুন উপজেলার কয়েন গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক রেজাউল করিমের মেয়ে।এ ঘটনায় শিশুটির পিতা কয়েন গ্রামের আলীর ছেলে রেজাউল করিম, সুদ ব্যবসায়ী একই গ্রামের দুর্লভ প্রামাণিকের ছেলে আব্দুস সামাদ ও সানোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে রেজাউল তার প্রতিবেশী সুদ ব্যবসায়ী কালাম হোসেন এবং আব্দুস সামাদ ও তার ভাই সানোয়ার হোসেনের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ টাকা ধার নেন। এরমধ্যে কিছু সুদ পরিশোধ করলেও চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে তার ঋণের পরিমাণ ৮০ হাজারে দাঁড়ায়। এসব টাকা পরিশোধের জন্য মহাজনরা চাপ দিয়ে আসছিলো। এমনকি তার আয়ের একমাত্র উৎস রিকশাভ্যানটিও কয়েকদিন আগে কালাম হোসেন জোর করে নিয়ে নেয়।তারপরও টাকা পরিশোধের জন্য মহাজনরা চাপ দিলে একপর্যায়ে রেজাউল তার ২২ দিন বয়সের শিশুকন্যাকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু স্ত্রী ফুলজান বেগম তাতে বাধা দেয়ায় রেজাউল ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের পায়েও কোপ দেন।
একপর্যায়ে তিনি নিজেকে শেষ করে দেয়ার হুমকি দেন। এতে বাধ্য হয়ে তার স্ত্রী শিশুটিকে দিয়ে দিলে সুদ মহাজন আব্দুস সামাদের আত্মীয় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সরাইকান্দি কারিগরপাড়ার মৃ’ত মোভাক্ষর হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলামের কাছে এক লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।