২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস। ইংল্যান্ডের ফুটবল ক্লাব আর্সেনালের মাঠে মুখোমুখি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। সেই প্রীতি ম্যাচটিতে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের কাছে পাত্তাই পায়নি দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচে দুর্দান্ত একটি গোল করেছিলেন ব্রাজিলের সাবেক তারকা রিকার্ডো কাকা।
সেদিন কাকা প্রায় পুরো মাঠ দৌঁড়ে বল নিয়ে এসে আর্জেন্টিনা গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে পাঠিয়েছিলেন। ম্যাচটি ব্রাজিল জিতেছিল ৩-০ গোলে। ব্রাজিলের পক্ষে প্রথম গোলটি করেছিলেন এলানো। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটিও করেন এলানো। তবে এলানোর দুই গোলকে ছাপিয়ে যায় ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে করা কাকার সেই গোলটি।
ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে কর্নার পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই কর্নার হেড দিয়ে ফেরান ব্রাজিলের ডিফেন্ডার। হেডের সেই বল চলে যায় মেসির কাছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে নবাগত মেসি সেই বলটি রাখতে পারেননি নিজের কাছে। কাকা সেই বলটি ধরে এগিয়ে যান আর্জেন্টিনার গোলপোস্টের দিকে। প্রায় পুরো মাঠ একাই বল নিয়ে দৌঁড়ে আর্জেন্টিনার জালে বল পাঠান কাকা। মেসি ও কয়েকজন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার অনেক চেষ্টা করেও রুখতে পারেননি কাকাকে।
মেসি ও কাকা দুজনই সেদিন ১৯ নম্বর জার্সি গায়ে খেলেছিলেন। কাকার সেই গোলটির জন্য ম্যাচটি আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এমন গোল খুব কমই দেখা যায়!
আজিমুল খান (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গাল গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল রোডের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ডা. শফিকুল ইসলামকে দেখান। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বাম কিডনীতে পাথর রয়েছে বলে জানানো হয়। বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করার মতো আর্থিক সামর্থ দিনমজুর আজিমুলের নেই বলে সরকারি হাসপাতালে করানো অনুরোধ করেন। গত ১৯ জুন আজিমুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল ভর্তি হলে ২৭ জুন অস্ত্রোপচারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেদিন অস্ত্রোপচারের সময় বাম পাশের বদলে ডান পাশ কেটে ফেলা হয়।
আজিমুল জানান, অস্ত্রোপচারের সময় তিনি দুই পাশ কেটে ফেলার বিষয়টি টের পান। বিষয়টি তিনি স্বজনদেরকে জানান। পরে স্বজনরা দুই পাশে কাটা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জানতে পারেন এটা ভুলে করা হয়েছে।
আজিমুলের স্ত্রী খালেদা জানান, ওই দিন সকাল আটটায় অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যাওয়ার পর কয়েক ঘন্টা পেরুলেও না বের হওয়া সন্দেহ হয়। আজিমুল মারা গেছেন এমনটাই তারা ভেবে বসেন। বেলা ১টার পর অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে তাকে বের করে আনা হয়। দুই পাশ কাটার বিষয়টি আজিমুলের মাধ্যমে বুঝতে পেরে চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এটিকে দুর্ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন। এ অবস্থায় আজিমুল এখনো সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। তার হাঁটাচলায় এখানো সমস্যা হচ্ছে।