ভারত শুক্রবার একদিনে প্রথমবারের মতো ১০ মিলিয়নের বেশি ভ্যাকসিন দিয়েছে। আজ শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শুক্রবার করোনার ১ কোটির বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যা এর আগের দৈনিক রেকর্ড ৯.২ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। গত এপ্রিল ও মে মাসে করোনার ভয়ঙ্কর থাবায় ২ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুতে সরকার কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মাইলফলককে ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশটির জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ অর্জন’ হিসাবে প্রশংসা করেছেন।
টুইটারে এক বক্তব্যে তিনি যারা টিকা গ্রহণ করেছেন এবং যারা টিকা প্রদান করছেন তাদের সফলতার প্রশংসা করেন। সরকার চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রাপ্তবয়স্ক ১১০ কোটি লোককে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ভ্যাকসিন সংকট, প্রশাসনিক সংশয় ও দ্বিধার কারণে টিকাদানের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে। গত জানুয়ারিতে টিকাদান শুরুর পরে মাত্র ১৫ শতাংশ লোককে দুটি ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এপ্রিল-মে মাসে করোনার উত্থানের পর থেকে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্বস্তি এনেছে। উৎসবের মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে আগামী মাসের শুরুতে আরেকটি নতুন ঢেউ আছড়ে পড়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করলেও করোনার বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।
শনিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা আবার ৪০ হাজারের ওপরে বাড়তে শুরু করেছে। ৫০০ জনের বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত দুই মাসের মধ্যে শনিবার নতুন সংক্রমণের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৪৬ হাজার দাঁড়িয়েছে।