তখন মাত্র অর্নাস পরিক্ষা শেষে রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা। অরুনিমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মেধাবী ছাত্রী। তবুও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের চাকুরির বাজারের বাস্তবতার কথা ভেবে
আত্মবিশ্বাসের অভাব বোধ হতো। সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভাষা ইন্সটিটিউট থেকে জাপানি ভাষায় সাধারন জ্ঞান অর্জন করে।মুটামুটি জাপানে জীবন নির্বাহ করতে পারবে। জাপান জীবনে ইংরেজির সাথে জাপানি না পারলে কঠিন জীবন। প্রফেসর মাকতো নিশিবের সহযোগীতায় এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে হোক্কাইডো বিশ্ব বিদ্যালয়ে দুই বছরের সরকারি বৃত্তি সহ মাস্টার্স করার সূযোগ হয়। কিন্তু সব কিছু ঠিক থাকলেও বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতা গুলো জাপানে আসার সময়ে অনেক রকমের প্রতিবন্ধকতা তৈরী করেছিল। একটি অবিবাহিতা মেয়ে একা বিদেশে যাবে। কার সাথে থাকবে? কিভাবে থাকবে? ফিরে আসার পর ভালো বিয়ে হবে কিনা। মূহূর্তেই নানা রকমের প্রশ্ন আর প্রতিবন্ধকতা একটি স্বপ্ন কে আড়াল করতে শুরু করেছিল।