মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুরবাজারে বিশাল পশুর হাট বসেছে শুক্রবার। শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে মানুষজন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাটে ভিড় করেন। মুখে ছিল না মাস্ক। বলতে গেলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পশু হাটে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত হাট চলার কথা থাকলেও বিকাল ৬টা র্পযন্ত গরুর হাট বাজার চলে। তবে পুলিশ ৬টার পর পশুর হাট বন্ধ করে দিয়েছে।
দেখা যায়, হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। হাটে আসা লোকজনের মুখে নেই মাস্ক। দেখে মনে হয় যেন করোনার চাষ হচ্ছে পশুর হাটে। সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেও আদমপুরে এমন হাট ও জনসমাগম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সর্বমহল। শুধু পশুর হাটেই সীমাবদ্ধ নয়, সন্ধ্যাবধি দেখা যায় সব দোকানপাঠ রয়েছে খোলা, চলছে বেচা-কেনা।
আদমপুর বাজারের ইজারাদার ফারুক আহমেদ বলেন,‘সপ্তাহিক প্রতি শুক্রবার পশুর হাট বসে। তবে এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশুর হাট পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবচিত্রে কোনো মিল নেই।
এদিকে করোনার প্রাদুর্ভাবে এভাবে পশুর হাটে জনসমাগম নিয়ে এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল মনে করেন, প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো রকম পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাট বাজার বন্ধ রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) আশেকুল হক বলেন, সরকারি নির্দেশনানুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে গরুর হাট বসানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, বসতভিটা বিক্রি ও প্রতিবেশির থেকে সুদের মাধমে টাকা ধার করে ছে’লেকে বিদেশ পাঠায় সিরাজুল ইস’লাম। সেই টাকা এখনো পরিশোধ হয়নি। একমাত্র উপার্জনকারী ছে’লেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে অ’সুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে সন্ধ্যায় তিনি মা’রা যান।মঞ্জুর ইস’লামের পরিবারে দাদি, মা, স্ত্রী’ ও একটি সন্তান রয়েছে। একদিনে বাবা-ছে’লের মৃ’ত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন মজুম’দার বলেন, মঞ্জুর ছিল পরিবারের শেষ সম্বল। তার উপার্জনের টাকা দিয়ে চলছিল পাঁচজনের পরিবার। ছে’লের মৃ’ত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে একই দিনে বাবাও মা’রা যায়। তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খা’রাপ। বসতভিটাও বিক্রি করেছে ছে’লের জন্য। বর্তমানে পরিবারটি খুবই অসহায়। আমা’র সাম’র্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব পরিবারটিকে সহযোগিতা করার। তবে প্রশাসন যদি এগিয়ে আসে পরিবারটি উপকৃত হবে। বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) বাদ জোহর জানাজা শেষে সিরাজুল ইস’লামকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ভারতের আসাম স’রকার এরই মধ্যে আইন করেছে- যেসব স’রকারি কর্মী বাবা-মার দেখভাল করবেন না, তাদের বেতনের একটা অংশ সরাসরি বৃ’দ্ধ বাবা-মার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।