কুমিল্লার লালমাইয়ে একই ঘরে থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের একটি ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হচ্ছেন- ইছাপুরা গ্রামের হাসানুজ্জামানের ছেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী হায়াতুন্নবী শরিফ (২৮) এবং অপরজন একই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে দোকানের কর্মচারী ফয়েজ আহমেদ (২৭)।
নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা, ঈদে গরু বিক্রির টাকার লোভে শরিফ ও ফয়েজকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্ত।
জানা যায়, শরিফের বাবা-মা সোমবার রাতে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। শরিফ এবং ফয়েজ দোকান বন্ধ করে ফাঁকা ঘরে ছিলেন। তারা ঘুমিয়ে গেছে ভেবে শরিফের বাবা-মা ফিরে এসও ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে ডাকতে যান তার বাবা। সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভাঙলে তাদের লাশ দেখতে পান।
শরিফের বাবা হাসানুজ্জামান বলেন, তার ছেলে শরিফের কাছে গরু বিক্রির ১২ লাখ টাকা ছিলো। গতকাল (সোমবার) বিকেলে খেলার মাঠে আরো কিছু টাকা একজন ক্রেতা দিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজনের সামনেই শরীফ সেই টাকা নেন। সম্ভবতো টাকার লোভে দুর্বৃত্তরা রাতের কোন সময় ফয়েজ আহমেদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং শরিফ আহমেদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, শরিফ ও ফয়েজ নামের দুই ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। একটি রুমে একজনের লাশ খাটে এবং অন্যজনের লাশ রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনা তদন্ত ও লাশ ময়নাতদন্তের পর ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।
aro porun:
এই তিনজন জন্ম থেকেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। পৃথিবীর কোনো কিছুই চোখে দেখেনি তারা। তবুও শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে তারা এখন কুরআনের হাফেজ।
তারা হলেন, লক্ষীপুরের আবদুল গণি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্রেইল হাফিজিয়া ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। হাফেজ মোহাম্মদ ইমাম হাসান, ইয়াছিন আরাফাত ও জাহিদুল ইসলাম।জাহিদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপুর গ্রামের প্রয়াত মোহাম্মদ কবির হোসাইনের ছেলে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছোট্ট জাহিদ তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছে। কুরআন মাজীদের ত্রিশ পারা সম্পূর্ণ মুখস্ত করতে মাত্র তিন বছর সময় লেগেছে তার। আগামী রমজান মাস থেকে তিনি খতম তারাবীহ পড়াবেন। যদিও তার বাবা এই সফলতা দেখে যেতে পারেননি।
তবুও সন্তানকে সঠিক শিক্ষাদানে জাহিদের মরহুম বাবা সফল হয়েছেন। এদিকে হেফজ শেষ করার পর গত দুই বছর ধরে আল কুরআনের তাফসীর ও হাদিস গ্রন্থসমূহ নিয়ে পড়াশুনা করছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইমাম হাসান ও ইয়াছিন আরাফাত।
সব ঠিক থাকলে আর পাঁচ বছর পরেই তারা হয়ে উঠবেন আল কুরআনের তাফসীরকারক। হাফেজ ইমাম হাসান লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাসিন্দা মহিব উল্লাহর ছেলে ও হাফেজ ইয়াছিন আরাফাত সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল করিমের ছেলে।