স’রকারি চাকুরে মতিন সাহেবের ৫ কন্যা। জ্যোতি, রতি, নীতি, মিতি আর ইতি। ছোট মেয়ের নাম ইতি রাখার কারণ হচ্ছে- তিনি চাচ্ছেন বি’ষয়টাতে ইতি টানার। চেষ্টা করে যাচ্ছেন একটা ছে’লে স’ন্তানের জন্য। বয়স হচ্ছে।
শেষ বয়সে দেখার মতো কেউ না থাকলে বি’ষয়টা খুবি মন্দ হবে। মে’য়েরাতো চলে যাবে পরের বাড়ি। বৃ’দ্ধ বয়সে তাকে আর তার স্ত্রী’কে দেখবে কে? আম’রা জানি, কেবল মতিন সাহেবই নন। মতিন সা’হেবের মতো আরো অনেকে এই রকম চিন্তা মা’থায় লালন করেন। চিন্তাটা শুধু লালন করার মধ্যেই যদি সীমাবঃদ্ধ রাখা হতো তবু ব্যাপারটা সহনীয় মাত্রায় হয়তো থাকতো। কিন্তু ব্যাপারটা আরো মন্দের দিকে যায় যখন পিতা-মাতা’র এই চিন্তা তাদের কন্যা স’ন্তানটির সাথে আঃচরণেও প্রভাব ফে’লে।
আর কন্যা শি’শুটি বেড়ে ওঠে একটা অসাম্য পরিবেশের ভে’তর দিয়ে মা’নসিক পীড়ন সহ্য করে। যারা বিশ্বা’স করেন, শুধু আপনার পুত্রধ’নই আপনাকে বৃ’দ্ধ বয়সে নিরাপত্তা দেবে, দেবে সেবা। তা’দের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, শ্রদ্ধেয়, আপনার ধারণাটিকে ভু’ল প্রমাণিত করেছে ‘আ’মেরিকান স্যোসিওলোজিক্যাল এসোসিয়েশন’। তারা ‘মিশিগান বি’শ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য ও অবসর গবে’ষণা বিভাগের মাধ্যমে ৫০ উর্ধ্ব ২৬,০০০ লোকের উপর স্টাডি করে যে ত’থ্য পায়, তা হলো- একটা মেয়ে মাসে ১২.৩ ঘন্টা সময় দেয় তার বৃ’দ্ধ বাবা-মা’র পরিচর্চায় আর বিপরীতে একটা ছে’লে দেয় ৫.৬ ঘন্টা।
প্রিন্স’টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লেখিকা অ্যাঞ্জে’লিনা গ্রিগোরিভা জানান, একটা মেয়ে তার ছে’লে-মেয়ে, চাকরি এবং সংসারের হাজারটা সমস্যা সামলিয়ে কোন বোন, কাজের মেয়ে কিংবা অন্যকারো সাহায্য ছাড়াই বৃ’দ্ধ পিতা-মাতার সেবা যত্ন করে। তিনি ছে’লেদের সেবায’ত্নের বি’ষয়টা উল্লেখ করে আরো বলেন, ‘ছে’লেরা যে সেবা-যত্ন তাদের বাবা-মাকে করে সেটাও অন্য কারো সহায়তা নিয়ে, সেটা ছোট বোন, স্ত্রী’ কিংবা কা’জের লোকেরও হতে পারে।’ হ্যাঁ, এবার আপনি বলবেন হয়তো এটাতো আ’মেরিকার গবে’ষণা!
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই গবে’ষণার মূ’ল্য কী’? এমন প্রশ্নও হয়তো তুলে ফেলবেন। একটু চোখ খুলে দেখু’ন চারপাশটা। বাংলাদেশে মে’য়েদের স্বা’ধীনতা নেই বললেই চলে। তারা চলে স্বা’মীর নিয়’ন্ত্রণে। তারপরও দেখেন মেয়েরা নিজের সংসারের হাজারটা সমস্যা সামলিয়ে ঠিকই বৃ’দ্ধ বাবা-মাকে সেবা-যত্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ততোটা কি করছে আ’পনার পুত্রধ’ন? শুধু আপনার কথা বলছি না, বলছি চারপাশের কথা। যুগের পর যুগ ভ্রা’ন্ত একটা চিন্তা মা’থায় রাখার চেয়ে ঝেড়ে ফেলুন ওটাকে। মেয়ে হোক, ছে’লে হোক স’ন্তানকে লালন করুন সমান স্নেহ মমতায়।
দূতাবাস জানিয়েছে, যারা নতুন করে সৌদি আরবে আসছেন, সৌদি সরকার করোনা ভাইরাসের টিকা হিসেবে চার প্রকার টিকা গ্রহণযোগ্য বলে অনুমোদন দিয়েছে। এসব টিকা হলো—ফাইজার বায়ো-এনটেক (২ ডোজ), অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা (২ ডোজ), মর্ডানা (২ ডোজ) ও জনসন অ্যান্ড জনসন (১ ডোজ)। বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরবে আসবেন তাঁরা ওই চার ধরনের যেকোনো একটি কম্পানির টিকার ডোজ গ্রহণ করলে তা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে টিকা নিলেও ভ্রমণের আগে (৭২ ঘণ্টার মধ্যে) অবশ্যই পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ সনদ নিয়ে ভ্রমণ করতে হবে।
রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ ছাড়া কোনো বাংলাদেশি অভিবাসী সৌদি আরবে প্রবেশ করলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ৭ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে ইকামাধারী অভিবাসী যারা সৌদি আরবে টিকা নিয়ে ছুটিতে দেশে রয়েছেন এবং যাদের তাওয়াক্কালনা অ্যাপে ইমিউন প্রদর্শন করছে তাদের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন প্রয়োজন হবে না। কিন্তু পিসিআর নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার ১৮০ দিন পর্যন্ত তাওয়াক্কালনা অ্যাপে ইমিউন প্রদর্শন করে। এ সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করলে কোয়ারেন্টিন প্রয়োজন হবে না।