মাত্র ১৮ বছরের এক তরুণী ইসাবেলা গুজম্যান। আর ১০ জন তরুণীর চেয়ে খানিকটা বেশিই স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসতেন। তবে পারিবারিকভাবে তেমন সুখী ছিলেন না ইসাবেলা।নিম্নবিত্ত পরিবারেই ইসাবেলার জন্ম।
আমেরিকার কলোরোডায় বাবা-মায়ের সঙ্গেই বাস করতেন তিনি। যখন যা চাইতেন তা দেওয়ার সামর্থ্যও ছিল না তার বাবা-মায়ের। এমনকি তাদের অবস্থা বুঝতেও চাইতেন না জেদি ইসাবেলা।
নিজের খেয়াল খুশি মতোই চলাফেরা করতে ভালোবাসেন। অল্পতে ধনী হওয়ার স্বপ্নও দিন দিন বুকে লালন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ইসাবেলা তার ইচ্ছা পূরণ না করায় বাবা-মা কাউকেই তেমন পছন্দ করতেন না। তারপরও মায়ের সঙ্গেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে মায়ের সঙ্গে সারা;ক্ষণই ঝগ;ড়ায় ব্যস্ত থা;কতেন ইসাবেলা।তার মা এক সময় ইউন মি হো রিচার্ড নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জ;ড়িয়ে পড়েন। বিয়ে করার সিন্ধান্ত নেন। তবে মায়ের সঙ্গে রিচার্ডের মে;লামেশা একেবারেই পছন্দ করতেন না ইসাবেলা। এ নিয়ে মা মেয়ের ঝ;গড়াও হতো দিন-রাত।
বিভিন্ন সময় ঝ;গড়া করার এক পর্যায়ে ইসাবেলা তার মা;কে মে;রে ফে;লার হু;মকিও দিতেন। কয়েকবার রিচার্ডের সামনেই ঝ;গড়া করেছেন। মা;য়ের গা;য়ে থু;তুও দিয়েছেন। বেশিরভাগ সময় ঘরের দরজা বন্ধ করেই থাকতেন ইসাবেলা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতেন না।
ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর।ইউন মি রিচার্ডের সঙ্গে সময় কাটা;চ্ছিলেন। এক পর্যায়ে গো;সল করতে চলে যান বাড়ির উপর তলায়। এ সময় রিচার্ড নিচে বসে টিভি দেখছিলেন। কিছুক্ষণ পরই তিনি ইউন মির চি;ৎকার শুনতে পান। তার নাম ধরে চিৎ;কার করছিলেন ইউন মি।
রিচার্ড উপরে গিয়ে দেখতে পান বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ আর ইসাবেলা তার মা;য়ের উপর ঝাঁ;পিয়ে পরে উপরি ঝু;পড়ি ছু;রিকা;ঘাত করছেন। রিচার্ড দরজা ভা;ঙার চে;ষ্টা করেন। এরপর তিনি নিচে এসে পুলিশকে ফোন দেন। ইসাবেলা যখন বাইরে বেরিয়ে আসেন; তখন হাতে তার মা;য়ের র;ক্তে লাল হ;ওয়া ছু;রি;টিও ছিল।
সেখান থেকে ফোঁ;টায় ফোঁ;টায় র;ক্ত পড়ছে। আর ইসা;বেলার সারা শরী;রে র;ক্ত।পুলিশ আসার আগেই ইসাবেলা পা;লিয়ে যায়। অন্যদিকে ইউন মিও মা;রা যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই। বেরিয়ে আসার সময় ইসাবেলার মুখে রিচার্ড সন্তুষ্টির ছাপ দেখেছিলেন বলে পুলিশকে জানান।
এরপর ইসাবেলা পুরোপুরি বে;পা;ত্তা হয়ে যায়। সারা শহরে ইসাবেলার ছবি পোস্টার করে লাগিয়ে দেয় পুলিশ। এমনকি পুরস্কারও ঘোষণা করে। কিছুদিন পর, এক ব্যক্তি পার্কিং লটে থাকা একটি গাড়ির ডিকিতে একটি র;ক্তা;ক্ত দে;হ দেখতে পেয়ে পুলি;শে ফোন দেন।
পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখতে পান পুরো শরীরে র;ক্ত মাখা অবস্থায় সেখানে পরে আছে ইসাবেলা। সঙ্গে তার মাকে হ;;ত্যা;য় ব্যব;হৃত ছু;রি;টিও ছিল। পুলিশ ইসাবেলাকে গ্রে;ফ;তার করে নিয়ে আসে।
ইসাবেলা কোনো রকম বাঁধা দেননি আ;টক করার সময়।এমনকি আদালতেও এমন ভাব করছিলেন যেন কিছুই হয়নি। তার সেই মুখভঙ্গি ধরা পড়েছে সাংবাদিকদের ক্যামেরায়। আ;ট;কের পর তার মেডিকেল টেস্টে ধ;রা পরে ইসাবেলা প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়া নামক মান;সিক রো;গে আ;ক্রান্ত। তিনি তার মা;কে হ;;ত্যা;র কথাও স্বী;কার করেন আদালতে।
মুখে ৩১ বার এবং ঘা;ড়ে ৪৮ বার মোট ৭৯ বার ছু;রিকা;ঘা;ত করেন তার মা;য়ের শরী;রে। এই সময় ইসাবেলা নিজেও কিছুটা জ;ঘ;ম হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ছু;রি চা;লা;তে অ;দক্ষ হওয়ায় আ;ঘাত করার সম;য় হাত ফ;সকে নিজের শরী;রেও কিছু ;জঘ;ম করে ফে;লেন তিনি।
ইসাবেলা গুজ;ম্যা;নকে যাব;জ্জী;বন কা;রা;দ;ণ্ড দেয় আদালত। সেইসঙ্গে তাকে পুয়েবলোতে কলোরাডো মানসি;ক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় চিকিৎসার জন্য। পরে অবশ্য তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে ২০১৫ সালে একজন কা;রার;ক্ষীর দ্বা;রা যৌ;ন নি;র্যাত;নের স্বীকার হয়েছিলেন ইসাবেলা।
এক সাক্ষাৎকারে ইসাবেলা বলেন, তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। তবে তা হয়তো কখনো সম্ভব নয়। নিজ মাকে হ;;ত্যা;র দ্বায়ে দো;ষী সা;ব্যস্ত হয়েছেন তিনি। সেই সা;জা ভো;গ করবেন কা;রাগা;রে শা;রীরি;কভাবে এবং অনুতা;পের মান;সি;কভা;বেও।
মায়ের খু;;ন করেও ইসা;বেলা যেভাবে স্বাভাবিক ও হাসিমুখে আদাল;তের কাঠগড়ায় উঠেছিলেন, সেসব ভিডিও ও ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘু;রে বেড়া;চ্ছে। এমনকি টি;কটকেও আছে তার নামে একা;ধিক আইডি এবং ফ্যান গ্রুপ। টিকটক ব্যবহার না করেও জনপ্রিয় টিকটকার বনে গিয়েছেন ইসাবেলা। টিকটকে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুইট বাট সাই;কো’।
তার ভক্ত অনুরাগীরা ইসাবেলার ওই সময়ের বিভিন্ন ছবি ও ভিডি;ওর অ;ঙ্গভ;ঙ্গিকে অনুকরণ করে শত শত ভিডিও তৈরি করছেন। টিকটকে বর্তমানে ভাইরাল ‘ট্রে;ন্ড’ হয়েছে ই;সাবেলা। তার সুন্দর মুখ;শ্রীর প্রে;মে পড়ছেন অনেকেই। আবার তার ফ্যান গ্রুপের সদস্যরাও মা;নসিকভা;বে বি;কৃ;ত বলে অনে;কেই মন্তব্য করছেন।
সূত্র: মিডিয়াম
উনবিংশ শতাব্দিতে ব্রাজিলের বিভিন্ন স্থানের বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। বিশেষত উপকূলীয় বাহিয়া এলাকায় হাউসার মুসলিম নেতৃত্বে বিদ্রোহ হয়। কিন্তু পর্তুগিজরা তা কঠোরভাবে দমন করে এবং তাদের ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করে। ১৮৩৫ সালে আরেকবার বিদ্রোহ হয়। সেটাও ব্যর্থ হয়। এরপর অসংখ্য মুসলিমকে হত্যা করা হয়। অনেক মুসলিম খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন।
ইসলামী শিক্ষার প্রসার : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আরব ও মুসলিম দেশ থেকে অনেক মুসলিম ব্রাজিলে জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমায়। বিশেষত ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবাননসহ বিভিন্ন আরব দেশের মুসলিমরা সেখানকার অভিবাসী হয়। ১৯২৬ সালে ব্রাজিলের সাও পাওলো এলাকায় সর্বপ্রথম একটি ইসলামী দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এর ধারাবিহকতায় ব্রাজিলে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৩ সাল থেকে এর তত্ত্বাবধানে ‘আন নাশরাহ’ এবং পরবর্তীতে ‘আজ জিকরা’ নামে পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ১৯৫৭ সালে মুসলিমদের জন্য সংস্থাটি প্রথম মসজিদ স্থাপন করে। এরপর ইসলামী শিক্ষা প্রসারে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। পাশাপাশি গেয়ারুলহোস (Guarulhos) এলাকায় মুসলিমদের জন্য করবস্থান তৈরি করা হয়।