ভারি বর্ষণ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কুমরী গ্রামের ৩০টি পরিবার। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বয়স্ক সদস্যরা। এ ব্যাপারে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে গ্রামবাসীদের পক্ষে।
জানা যায়, নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি জমে উপজেলার কুমরী গ্রামের প্রায় ৩০টি পরিবার ৮/১০ দিন যাবত পানিবন্দি হয়ে আছেন। বসতঘর ও বাড়ির উঠানে জমে আছে হাঁটু পানি। প্রতিদিন পানি পেরিয়ে তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় পানিবন্দি থাকায় পরিবারগুলোর বিভিন্ন সদস্যর মধ্যে দেখা দিতে শুরু করেছে পানি বাহিত নানা রোগ।
এসব এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দা ছিদ্দিক হোসেন ও কেসমত আলী জানান, দীর্ঘ এক শ বছর যাবত যে জমি দিয়ে নিচু গ্রামের পানি নিস্কাশন হতো সেই জায়গা বর্তমানে কুমরী গ্রামের আনার আলী মাটি দিয়ে বন্ধ করার ফলে এবার আষাঢ়ের লাগাতার বৃষ্টির পানি জমে তাদের বাড়িসহ গোটা এলাকায় উঠেছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য জমির মালিককে অনেক অনুরোধ করেও কাজ হয়নি। বরং তদবির করেও কেউ কিছু করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে আনার আলী বলেন জায়গাটা আমার।
কুমরী গ্রামের ইউপি সদস্য বজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কুমরী গ্রামের পানি দীর্ঘ এক শ বছর যাবত গ্রামের রাস্তার পাশ দিয়ে কুমরী বিলে গিয়ে পড়ত। বর্তমানে সেই জমি বিক্রি হওয়াই মালিকানা পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছে কুমরীবাসী। কুমরী গ্রামের আনার আলী পানি নিষ্কাশনের সেই কালভার্টটি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে পানি নামতে পারছে না। ফলে গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তিনি আরো বলেন, কালভার্ট দিয়ে পানি যাওয়ার ব্যাপারে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে তাকে অনুরোধ করলেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি।
এ ব্যাপারে আনার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জমিটা আমার ব্যক্তিগত সম্পতি। যার ফলে ওই জমির উপর দিয়ে পানি যেতে দেব না। আর এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব তিনি দিবেন না বলে মুঠোফোন কেটে দেন।
বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স যাওয়ার কথা বলেছি। তদন্ত শেষে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।