ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ৯ বছরের এক এতিম শি,শুকে ধ,র্ষণচে,ষ্টার অ,ভিযো,গে জহর মিয়া উরফে জইল্লা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে আ,টক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে তাকে আ,টক করা হয়। অ,ভিযু,ক্তের বাড়ি রায়পুরা উপজেলা মজিরপুর।
জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর নবীনগর পৌর এলাকার পশ্চিম পাড়ায় বসবাসকারী এক ভিক্ষুকের ৯ বছরের এ,তিম নাতনি দোকান থেকে কেক কিনে বাড়িতে ফেরার সময় একই মহল্লায় বসবাসকারী অ,ভিযু,ক্ত জহর মিয়া ওই ক,ন্যা শি,শুকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা ব,ন্ধ করে তাকে ধ,র্ষণের চে,ষ্টা চালায়। এ সময় শি,শুটির চিৎ,কার শুনে প্রতিবেশী এক না,রী শি,শুটিকে উ,দ্ধার করে।
শিশুটির দাদি আয়েশা বেগম বলেন, আমরা ময়মনসিংহ থেকে গত ৯ বছর আগে নবীনগর আসি। যারা দয়া করে জায়গা দেয় তাদের বাড়িতে থাকি। আমি ভি,ক্ষা করে যা পাই, তা দিয়েই আমার সংসার চলে। আমি এই ঘটনার দৃ,ষ্টান্তমূ,লক বি,চার চাই।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রশিদ জানান, শি,শু ধ,র্ষণচে,ষ্টার অ,ভিযো,গে সোমবার দুপুরে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অ,ভিযু,ক্ত জহর মিয়াকে গ্রে,প্তার করা হয়েছে।
একই আদেশে আসামি দিদারুল ইসলাম ওরফে শকুকে জামিন দিয়ে জেল সুপারের উপস্থিতিতে কারাগারে বিয়ের আয়োজন করতে কক্সবাজার জেল কর্তৃপক্ষকে (জেল সুপার) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আসামি দিদারম্নল ইসলামের সাথে মামলার বাদী সেলিনা বেগমের বিয়ে পড়াতে বলা হয়েছে। এর পর দিদারম্নলকে মুক্তি দিয়ে আদালতকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে।
গতকাল সোমবার চকরিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রাজীব কুমার দেব দিয়েছেন এই আদেশ।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী সেলিনা বেগমের কৌঁসুলী চকরিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের আইনজীবী মো. মিজবাহ উদ্দিন এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সেলিনা বেগম আদালতের এই আদেশের ফলে মহাখুশি।
তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি আদালত এবং বিচারকের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমি কল্পনাও করিনি অল্প সময়ের মধ্যে আমি এই ধরনের আদেশ পাবো। বিচারকের মহানুভবতার কারণে আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি এবং আমার তিন মাসের পুত্র মো. তামিম পিতৃপরিচয় পেয়ে গেছে। এজন্য আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে দুই হাত তুলে দোয়া করেছি বিচারকের জন্য।’