ঢাকা: ঢাকার সাভারে একটি তৈরি পোশাক কারখানার ভেতরে প্রায় অর্ধশত শ্রমিক হঠাৎ সংজ্ঞা হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের সহকর্মীরা। শনিবার (৩ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকার ডংলিয়ান ফ্যাশন (বিডি) লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ শ্রমিকদের পাশের হাবিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা বলেন, ‘গেটের মইদ্দে ঢোকামাত্র দেখি ফ্লোরের মইদ্দে সবাই খালি পড়ি যাইতেছে। মাথাব্যথা আর বমি হইতেছিল তাদের। এ পর্যন্ত তাও ৪০-৪৫ জন অসুস্থ হইছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘সকালে প্রথম একজন শ্রমিক অসুস্থ হন। তাকে হাসপাতালে রেখে আসতেই অন্তত আরও ১৪ জন বমি এবং মাথাব্যথার উপসর্গ নিয়ে কারখানার ভেতরে ফ্লোরে পড়ে যান।
‘তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজকা আবার এই সংখ্যাটা বেশি। গত ১৫ দিন ধইরেই এই সমস্যাটা শুরু হইছে।’ তবে তারা অসুস্থতার কারণ জানাতে পারছেন না। এ বিষয়ে হাবিব জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার বিল্লু দাস বলেন, ‘একটি কারখানার বেশ কয়েকজন শ্রমিককে অসুস্থ অবস্থায় আনা হয়েছে। ডাক্তাররা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। আসলে কী হয়েছে, ডাক্তার পর্যবেক্ষণের পর জানাতে পারবেন।’
ডংলিয়ন ফ্যাশন (বিডি) লিমিটেড কারখানার কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি কারখানায় গেলে সাংবাদিকদেরও ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই কারখানায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার খবর জেনেছি। আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে এবার মাধ্যমিক পর্যায়ে বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব না হলে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেয়া হবে। কোনো অবস্থাতে এবার অটোপ্রমোশন দেয়া হবে না।
শনিবার (৩ জুলাই) গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এসব কথা জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দিতে চাই। তবে কোনো কারণে যদি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব না হয়, তখন অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে তাদের মূল্যা করা হবে।
মাউশি ডিজি আরও বলেন, এবার কোনো অবস্থাতেই অটোপাস দেয়া হবে না। আমরা যে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছি সেগুলো সংরক্ষণ করতে বলেছি। পরীক্ষা না হলে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।