ফেনীর ফরহাদ নগর গ্রামের ভোরবাজারের পাশ্ববর্তী সৌদি প্রবাসী শহিদ উল্লাহ’র স্ত্রী’ নাজমা বেগমকে (৩৬) চৌদ্দ বছরের একটি পুত্র সন্তানসহ বছর খানেক আগে বিয়ে করেন সৌদি প্রবাসী শহিদ উল্লাহ। ইতিপূর্বে তিনজনের সাথে সংসার করেন নাজমা। কিন্তু বছর না যেতেই একই গ্রামের এক কন্যা সন্তানের জনক মোশাররফ হোসেনের (৩৫) সাথে পা’লি’য়ে যান নাজমা বেগম।
ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী’ ফারহানা আহমেদ জানান, তার স্বামী বা’রই’য়াহা’টে হার্ড’ওয়া’রের ব্যবসা করেন। বাবার দেয়া ব্যবসার পুঁ’জি ও ভাইদের থেকে ধা’র করা অন্তত ৫০ লক্ষ টাকা আর পাশের গ্রামের নাজমা ও তার প্রবাসী স্বামীর ২০ ভরি স্বর্ণা’লংকার ও অর্ধকো’টি নগদ টাকা নিয়ে দু’জনে পা’লি’য়ে গেছেন।
নাজমা’র প্রবাসী স্বামী শহিদ উল্লাহ বলেন, নাজমাকে বিয়ের পর শ’পথ করি’য়েছিলাম কোনো দিন আমাকে ছেড়ে আবার পা’লা’বে না বলে। কিন্তু নি’ষ্ঠু’র এই মহি’লা আমাকে ছেড়ে গেলো। তবে তিনি এখনো ফিরে এলে তাকে গ্রহণ করবেন বলে জানান। এসময় তাদের ‘ধ’রি’য়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কারের ঘোষণা দেন তিনি। আবার মোশাররফের স্ত্রী’ ফারহানা আহমেদ বলেন, আমাদের কন্যা মাদিহা (৪) প্রতিদিন বাবার জন্য কাঁ’দছে।সন্তানের কা’ন্না আর আ’র্ত”নাদের দিকে তাকিয়ে আমি আমা’র স্বামীকে ফি’রে পেতে চাই। এই বিষয়ে জো’রারগঞ্জ থা’না’র ত’দন্ত কর্মক’র্তা এসআই শরিফুজ্জামান বলেন, আম’রা দু’জনেরই>খোঁ’জ করছি। আবার যে কেউ আমাদের কাছে তাদের খোঁ’জ দিতে পারলে আম’রা স’র্বাত্ম’ক সহ’যো”গিতা করবো।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জেনেও রোগী দেখেছেন এক চিকিৎসক। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হলি ল্যাব হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তিন সদস্যের কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন- সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান ও মেডিকেল অফিসার ডা. ইনজামুল হক।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা দিয়েছেন ডা. শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হলি ল্যাব হাসপাতাল নিয়ে তদন্ত করতে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট অর্থোপেডিক চিকিৎসক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ের হলি ল্যাব হাসপাতালে নিয়মিত রোগী দেখেন। দুই দফায় নমুনা পরীক্ষায় শ্যামল রঞ্জন দেবনাথের করোনা পজিটিভ হয়। তাই হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে তাকে আইসোলেশনে থাকতে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি আইসোলেশনে না থেকে শরীরে করোনা নিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছিলেন।