অনেক স্বপ্ন নিয়ে একমাত্র ছে’লে মঞ্জুর ইস’লামকে (৩২) মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে ছিলেন বাবা সিরাজুল ইস’লাম (৬৫)। কিন্তু ভাগ্যের নি’র্মম পরিহাস করো’না কেড়ে নিল ছে’লের জীবন। শোক সহ্য করতে না পেরে বাবাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এমনই ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজে’লার কালিকাপুর ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামে। বুধবার (০৭ জুলাই) সকালে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতা’লে করো’না আ’ক্রান্ত হয়ে মঞ্জুর ইস’লাম মা’রা যান। খবর শোনার পর একই দিন সন্ধ্যায় মা’রা যান সিরাজুল ইস’লাম। এমন হৃদয় বিদারক ঘটনায় পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা যায়, বসতভিটা বিক্রি ও প্রতিবেশির থেকে সুদের মাধমে টাকা ধার করে ছে’লেকে বিদেশ পাঠায় সিরাজুল ইস’লাম। সেই টাকা এখনো পরিশোধ হয়নি। একমাত্র উপার্জনকারী ছে’লেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে অ’সুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে সন্ধ্যায় তিনি মা’রা যান।মঞ্জুর ইস’লামের পরিবারে দাদি, মা, স্ত্রী’ ও একটি সন্তান রয়েছে। একদিনে বাবা-ছে’লের মৃ’ত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন মজুম’দার বলেন, মঞ্জুর ছিল পরিবারের শেষ সম্বল। তার উপার্জনের টাকা দিয়ে চলছিল পাঁচজনের পরিবার। ছে’লের মৃ’ত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে একই দিনে বাবাও মা’রা যায়। তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খা’রাপ। বসতভিটাও বিক্রি করেছে ছে’লের জন্য। বর্তমানে পরিবারটি খুবই অসহায়। আমা’র সাম’র্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব পরিবারটিকে সহযোগিতা করার। তবে প্রশাসন যদি এগিয়ে আসে পরিবারটি উপকৃত হবে। বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) বাদ জোহর জানাজা শেষে সিরাজুল ইস’লামকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ভারতের আসাম স’রকার এরই মধ্যে আইন করেছে- যেসব স’রকারি কর্মী বাবা-মার দেখভাল করবেন না, তাদের বেতনের একটা অংশ সরাসরি বৃ’দ্ধ বাবা-মার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
এদিকে বৃ’দ্ধাশ্রম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, ব’য়স্কদের বাড়ি থেকে যেনতেন প্রকারে বের করে বৃ’দ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়া, বাবা-মায়ের সম্পত্তি দ’খল করা, বাবা-মাকে রাস্তায় বের করে দেওয়ার ঘ’টনা যেভাবে বাড়ছে, তাতে এ নিয়ে কড়া আইন তৈরি করা দরকার।
কিন্তু শহরের একটি পুরনো বৃ’দ্ধাশ্রমের মালিক জানান, নিঃস’ন্তান হলেই কেবল বৃ’দ্ধাশ্রমে থাকতে পারবেন, এমন আইন স’ঙ্গত নয়।অনেক বৃ’দ্ধ-বৃ’দ্ধা স্বেচ্ছায়, স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্যেও স’ন্তানের সংসার ছেড়ে বৃ’দ্ধাশ্রমে থাকা পছন্দ করেন। অনেকের ছেলেমে’য়ে বাইরে থাকেন।
শহরে তাদের পক্ষে একা থাকা, শ’রীরের যত্ন নেওয়া, বাজার করে সংসার চা’লানো সম্ভব হয় না। আইন প্রণয়ন করে তাদের জো’র করে বাড়িতে রাখা অন্যায় হবে।
এদিকে বৃ’দ্ধাশ্রম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, ব’য়স্কদের বাড়ি থেকে যেনতেন প্রকারে বের করে বৃ’দ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়া, বাবা-মায়ের সম্পত্তি দ’খল করা, বাবা-মাকে রাস্তায় বের করে দেওয়ার ঘ’টনা যেভাবে বাড়ছে, তাতে এ নিয়ে কড়া আইন তৈরি করা দরকার।
কিন্তু শহরের একটি পুরনো বৃ’দ্ধাশ্রমের মালিক জানান, নিঃস’ন্তান হলেই কেবল বৃ’দ্ধাশ্রমে থাকতে পারবেন, এমন আইন স’ঙ্গত নয়।অনেক বৃ’দ্ধ-বৃ’দ্ধা স্বেচ্ছায়, স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্যেও স’ন্তানের সংসার ছেড়ে বৃ’দ্ধাশ্রমে থাকা পছন্দ করেন। অনেকের ছেলেমে’য়ে বাইরে থাকেন।
শহরে তাদের পক্ষে একা থাকা, শ’রীরের যত্ন নেওয়া, বাজার করে সংসার চা’লানো সম্ভব হয় না। আইন প্রণয়ন করে তাদের জো’র করে বাড়িতে রাখা অন্যায় হবে।