পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ৫০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা আটকে দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর জেমস রিশ। এতে গাজা উপত্যকায় ভবন, সড়ক ও নিরাপদ পানি সরবরাহ স্থাপনা নির্মাণ বিলম্বিত হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসী ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়বে। গত মাসে ১১ দিনব্যাপী হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজায় শত শত ভবন ধ্বংস করেছে। মিসরের সহায়তায় দুই পক্ষের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ওই আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তবে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া ফিলিস্তিনিদের আর্থিক সহায়তা গত মাসে রিপাবলিকান সিনেটর জেমস রিশ বন্ধের পদক্ষেপ নেন। তিনি দাবি করেন, এই অর্থ হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে যাবে না সেটা আগে নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের একটি আইনকে ব্যবহার করে এটি আটকে দিয়েছেন সিনেটর জেমস।
সূত্র : আলজাজিরা
দৈনিক নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, কবি. গবেষক ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, দৈনিক দিনকাল সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি এডভোকেট জালাল উদ্দিনসহ প্রমুখ।
মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক বলেন, এখনো ভিন্ন নামে মীরজাফর, ঘষেটি বেগম, জগৎশেঠরা দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা আর ন্যায্যপ্রাপ্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। পলাশীর ইতিহাস তাই আমরা ভুলে যেতে পারি না। পলাশী ফিরে আসে বারবার নতুনরূপে। সুতরাং আমাদের সজাগ ও তৎপর হতে হবে। যে কোনো মূল্যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বাতন্ত্র্য সুরক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন,বাংলাদের ট্রাজেডি এই যে, প্রচ- ক্ষমতালোভী ও জাতীয়তাবিরোধী মীর জাফরের প্রেতাত্মারা বারবার গোর থেকে উঠে আসে। ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের উত্তরসূরীরাও একই আচরণ অব্যাহত রাখে। তারা এ দেশকে ‘কলোনি’ বানাবার স্বপ্নে বিভোর। তাই পলাশীর চেতনার নির্যাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন স্বদেশী ক্রীড়নকদের নীলনকশায় পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য দুইশত বছরের জন্য অস্ত যায়। মীরজাফরদের মতো বিশ্বাসঘাতকরা এখনো আমাদের চারপাশে রয়েছে। তাদের কবল থেকে দেশকে রক্ষায় নতুন প্রজন্মকে নৈতিক শিক্ষায় আদর্শবান হতে হবে। আমাদেরকে অর্জন করতে হবে জাতীয় ঐক্যের শক্তি। নিজেদের মধ্যে সকল প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ ও ভেদাভেদকে ভুলে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। দেশপ্রেমকে শুধু জাতীয় দিবসগুলো উদযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। সদাসর্বদা আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত রাখতে হবে। প্রিয় জন্মভূমিকে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের থেকে মুক্ত রাখতে হলে সৎ, যোগ্য ও আদর্শবাদী দেশপ্রেমিক নাগরিক গঠনের লক্ষ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাহলে আর কখনো মিরজাফররা সফল হবে না।
কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, পলাশীর ট্রাজেডি আমাদের জাতীয় জীবনে এক ন্যক্কারজনক ঘটনা। দেশীয় গাদ্দারদের বিশ্বাসঘাতকতা, ইংরেজ বেনিয়াদের চক্রান্ত ও জনগণের রাজনৈতিক সচেতনতার অভাবে দুইশত বছরের জন্য বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। এর মাধ্যমে সোনার বাংলাকে গোরস্তানে পরিণত করা হয়েছে। পলাশীর ঘটনা আমাদের জাতিসত্তার বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র এখনো চলমান আছে। পলাশী থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জাতিসত্তার বিরুদ্ধে চলমান সকল ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানেও মীর জাফরদের কারণে দেশবাসী অধিকার বঞ্চিত হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন হচ্ছে। সীমান্ত নির্বিচারে মানুষ হত্যা হচ্ছে কোনো প্রতিবাদ নেই। এ ঘৃণিত মীর জাফরদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।