সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে মজা করতে গিয়ে ভারতের কেরালায় মৃ,ত্যু হয়েছে একজন নবজা,তকের। ঘটনার তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনও আ,ত্মহ,ত্যা করেছে ন,দীতে ঝাঁ,প দি,য়ে। জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে কেরালার কোল্লাম জেলার কাল্লুভাতুক্কাল গ্রামে শুকনো পা,তার স্তূ,প থেকে উ,দ্ধার হয়েছিল ওই নবজা,তক।
হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে মা,রা যায় শি,শুটি। শিশুর ডিএনএ নমুনার সূত্র ধরেই তার মা রেশমার কাছে পৌঁছে পুলিশ। ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায়, ফেসবুকে একজনের স,ঙ্গে প্রে,মের স,ম্পর্কে জ,ড়িয়ে প,ড়েছিলেন তিনি। স্বামীকে ছেড়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গেই পা,লানোর সি,দ্ধান্ত নেন রেশমা। আর তা করতে গিয়ে স,ন্তানকে শুকনো পাতার স্তূ,পে ফে,লে রে,খে এসেছিলেন তিনি।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দুজন মিলে নিছক ম,জার ছলে ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তারাই ফেসবুকে ভু,য়া অ্যা,কাউন্ট তৈরি করে ওই নারীর সঙ্গে মজা করতেন। পুলিশ এ বিষয়ে তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই তারা জানতে পারেন, এই মজার কারণে রেশমার কয়েক দিনের স,ন্তানের মৃ,ত্যু হয়েছে। তার এক দিন পর পুলিশের কাছে খবর যায়, ন,দীতে ঝাঁ,প দিয়ে আ,ত্মহ,ত্যা ক,রেছেন ওই দুজন।
পুলিশ জানায়, রেশমাকে বিচার বিভাগীয় হে,ফাজতে পাঠানো হয়েছিল। করোনাভাইরাসে আ,\ক্রান্ত হওয়ায় এখনো নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি।\
সূত্র : আনন্দবাজার।
আরব মুসলিমদের বসবাস : উনিশ শতাব্দীতে আর্জেন্টিনায় আরব বংশোদ্ভূত অভিবাসীদের আগমন ঘটে। এদের অধিকাংশই ছিল সিরীয় ও লেবানিজ বংশোদ্ভূত। এদের অধিকাংশ খ্রিষ্টান ও ইহুদি ধর্মাবলম্বী হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম ছিল। বর্তমানে আর্জেন্টিনায় আরব বংশোদ্ভূত প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ বাস করে। এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়া ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অনেক মুসলিমরাও সেখানে বাস করেন।
আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্লোস মেনিমে আগে মুসলিম ছিলেন বলে মনে করা হয়। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অন্যতম শর্তপূরণ সাপেক্ষে তিনি ক্যাথলিক ধর্ম গ্রহণ করেন। তদুপরি তিনি দেশটিতে মসজিদ ও ইসলামিক স্কুল নির্মাণে নানাভাবে সহায়তা করেন।
প্রথম মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার : দেশটির অধিকাংশ মুসলিম রাজধানী বুয়েনোসে বাস করেন। ১৯৮৩ সালে ইরান সরকারের সহায়তায় শিয়াদের আত তাওহিদ মসজিদ স্থাপিত হয়। ১৯৮৫ সালে সুন্নি মুসলিমদের প্রথম মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার স্থাপিত হয়। ইসলামী শিক্ষার প্রসার, আলোচনা সভার আয়োজন, ইসলামী শরিয়াহ সম্মত বিবাহের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যাবলি সেন্টারের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করা হয়।
আর্জেন্টিনার স্থানীয় মুসলিমরা নানা রকম নিপীড়ন ও অন্যায়-অবিচার মধ্যে দিনকাল পার করলেও তাদের মধ্যে আরব্য ও স্পেনিশ সংস্কৃতি বজায় ছিল। মুসলিম শিশুদের মধ্যে ইসলামী শিক্ষা প্রসারে আরব আর্জেন্টিনিয়ান ইসলামিক এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হয়।
দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম মসজিদ : বর্তমানে আর্জেন্টিনার বিভিন্ন শহরে ১৫০টির বেশি ইসলামিক সেন্টার আছে। এর তত্ত্বাবধানে অসংখ্য মাদরাসা, স্কুল ও কলেজ পরিচালিত হয়। ১৯৯৬ সালে সৌদি বাদশার সহায়তায় কিং ফাহাদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নামে দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ মসজিদ স্থাপিত হয়। প্রথমে এর মূল আয়তন ছিল ২০ হাজার স্কয়ার মিটার। ১৯৯২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্লোস মেনিমে সৌদি সফরের পর ওই মসজিদের জন্য ৩৪ হাজার স্কয়ার মিটার জায়গার ব্যবস্থা করেন। অত্যাধুনিক মসজিদ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়। মসজিদের আওতায় লাইব্রেরি, দুটি স্কুল ও বিশাল গার্ডেন রয়েছে।