এরপর পরিবারের সম্মতিতে নূর ইসলাম প্রথমে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে তা’লাক দেন। এরপর বর মোনছের আলী নবপ’রিণীতা নূরুন্নাহারকে তালাক দেন। এরপর একই অনুষ্ঠানের সবার উপস্থিতিতে মোনছের আলীর সঙ্গে মাজেদা বেগমের এক লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়।হাদিরা ইউনিয়নের নি’কাহ রেজিস্ট্রার কাজী জিনাত বিয়ে রেজি’স্ট্রি করেন।
তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার, গ্রাম্য মাতব্বর এবং ওই পরিবারের সকল সদস্যের সম্মতিতে দু’টি তা’লাক এবং একটি বিবাহের কাজ একই অনু’ষ্ঠানে সম্পাদন করা হয়।
আরও পরুন-
গল্পটি এমনই এক মায়ের। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপ’জে’লার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের এক দুঃখিনী মায়ের জীবনের নিয়ত সংগ্রামের, টিকে থাকার গল্প এটি।মনোয়ারা বেগম আর আইয়ুব আলীর টানাপোড়েনের সংসারে অভাব নি’য়মিত মেহমান হলেও ঠিকঠাক চলেই যাচ্ছিল ৬ সন্তানের এই পরিবারটি।
কৃষক আইয়ুব আলী সা’ধ্যমত তার সকল সন্তানকে মানুষ করার চেষ্টা করেন। আইয়ুব আলী-মনো’য়ারা দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে তিন ছেলে- ফারুক হো’সেন, নেছার এবং জসীম উদ্দিন পুলিশে কর্মরত। মেয়ে মরিয়ম সু’লতানা আছেন শিক্ষকতা পেশায়।
বাকি দুই সন্তান শা’হাবউদ্দিন করেন ব্যবসা আর গিয়াস উদ্দিন ইজি বাইক চালিয়ে ভালোই আছেন। পরিহা’সের বিষয়, এতগুলো সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করেও এই মাকে আজ জী’বিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে ভিক্ষা করে। তিন ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা, মেয়ে সরকারি প্রা’থমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা অথচ সেই মাকেই কিনা জীবন বাঁ’চাতে ঘুরতে হচ্ছে মানুষের দ্বারে দ্বারে। দিনে এক বেলাও ঠিকমতো ভাগ্যে জুটছে না ভাত। বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের বয়স হয়েছে।
স্বা’ভাবিক ভাবে হাঁটতে পর্যন্ত পারেন না। তারওপর গত ৪-৫ মাস আগে ভিক্ষা করতে গিয়ে পড়ে কোমরের হাড় ভেঙ্গে যায়। সেই থেকে বাবুগঞ্জের স্টিল ব্রিজের পাশে একটি খুপ’রি ঘরে বিনা চিকিৎসায় অর্ধাহারে বেঁচে আছেন। নিঃস্ব, অসহায়, মূক।
মনোয়ারা বেগমের ইজি বাইক চালক ছেলে গি’য়াস উদ্দিন জানান, ‘আমার সাধ্য মত মাকে চিকিৎসা দেবার চেষ্টার করছি। এখন আমিও সহায় সম্বলহীন তাই বৃদ্ধ মা আজ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু পথযাত্রী। আ’মার তিন ভাই পুলিশ অফিসার। তারা তা’দের স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যত্র থাকে। মা’য়ের কোন খোঁজ খবর নেয় না।’
চিকিৎসকের একথায় চমকে যান মলি। কারণ তার কোনো দিন সন্তান হয়নি। তখন চিকিৎসকরা বলেন, এটা তার যমজ বোনের সন্তান হওয়া স্বাভাবিক। চিকিৎসকের এমন কথায় বাচ্চা মেয়েটির পরিবারের খোঁজ নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করেন মলি।