ঢাকার কাওরান বাজার থেকে মোহনগঞ্জে বিয়ে করতে এসে ঘটকের হাতে প্রতারণার শিকার হলেন হীরন মিয়া (২৬) নামে এক বর। গত মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকেনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়কাশিয়া-বিরামপুর ইউনিয়নের চেংরাখালী গ্রামের আবুল কাশেম নামে এক ঘটকের বিরুদ্ধে প্রতারণার এ অভিযোগটি ওঠে।
জানা গেছে, উপজলার গাগলাজুর ইউনিয়নের নগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে হীরন মিয়া (২৬) গত প্রায় ৬-৭ বছর যাবত ঢাকার কাওরান বাজারের মায়ের দোয়া নামে একটি মৎস্য আড়তে চাকরি করে আসছেন। গত প্রায় ১০ দিন আগে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে নিজ এলাকায় আসেন। মোহনগঞ্জ বাজারে এসে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয় উপজেলার চেংরাখালী গ্রামের মৃত ইয়ার মামুদের ছেলে ঘটক আবুল কাশেমের সাথে। আবুল কাশেম তখন বর হীরন মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তার নিজ গ্রামে যান।
সেখানে বউ হিসেবে একটি মেয়েকে সাজিয়ে হীরন মিয়ার সামনে হাজির করেন। তখন বর হীরন মিয়া তার সামনে বউ সেজে আসা মেয়েটিকে দেখে পছন্দও করেন। এরপর প্রতারক ঘটক কাশেম তাৎক্ষণিকভাবে মঙ্গলবার (২২ জুন) বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে দেন। এ অবস্থায় ঘটক কাশেম সোমবার সকালে বর হীরন মিয়াকে বিয়ের কেনা-কাটা করার কথা বলে তাকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসার কথা বলেন। তার কথামতো হীরন মিয়া বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে এসে ঘটকের হাতে তোলে দেন। ঘটক কাশেম টাকা নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তিনি ফোনটি বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যান।
হীরন দিনভর ঘটক কাশেমকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে প্রতারণার শিকার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এই ঘটনা হীরন মিয়া সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করবেন বলে ‘হ্যালো ভাটিবাংলা’ নামের এক ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়টি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইজাজুল হক রয়েলের নজরে আসে। তিনি ওইদিন রাত ৯টার দিকে রেলওয়ে স্টেশন রোডের একটি হোটেলে উভয় পক্ষকে ডেকে নিয়ে মীমাংসা করে দেন।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল হাসান বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেননি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করবে পুলিশ, বিজিবি এবং মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনী। আগামীকাল প্রজ্ঞাপন জারি। এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ এর সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শাটডাউন’ নয়, এটি ‘বিধিনিষেধ’ হিসেবেই বাস্তবায়ন করা হবে। যেটাই বলেন না কেন, এটি কঠোর বিধিনিষেধ। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আমরা এটি বলতে পারি।