আগামী বৃহস্পতিবার থেকে (১৫ জুলাই) সারা দেশে চলবে ট্রেন। আর ট্রেনের টিকিট মিলবে বুধবার সকাল ৮টা থেকে অনলাইন ও অ্যাপের মাধ্যমে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের জনসংযোগ পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।]
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে বিভিন্ন গন্তব্যে আন্তঃনগর ও মেইল এক্সপ্রেস মিলিয়ে ৫৭ জোড়া ট্রেন চলবে। ঈদযাত্রার সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ জুলাই পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এটি আগামীকাল বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে অনলাইন ও অ্যাপে অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত (২১ জুলাই ঈদের দিন ব্যতীত) যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণার্থে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের বিদ্যমান আসন অর্ধেক আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকিট ইস্যু করা হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমাতে গত ২৮ জুন থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হলে সারা দেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন জারি করায় সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।
আগামী ২১ জুলাই (বুধবার) দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
aro porun:
ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ অনুযায়ী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ নেওয়া ২১৪ কোটি টাকা অবিলম্বে ফেরত দেওয়া অথবা পণ্য সরবরাহের দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।
গতকাল রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানিয়েছেন টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক। তিনি বলেন, গত ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও সেলের মাধ্যমে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, জবাবদিহি, ভোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধি ও অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ২০২০ সংশোধিত ‘অনুচ্ছেদ ৩.৩.৬ অনুসারে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশিত হয়। ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’-এর ৩.৩.২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়ে থাকলে ক্রেতা-বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে ক্রয়াদেশ গ্রহণের পরবর্তী সর্বোচ্চ পাঁচ দিন এবং ভিন্ন শহরে বা গ্রামে অবস্থিত হলে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকাসহ সারা দেশের গ্রাহকদের হাজার হাজার অর্ডার ইভ্যালিসহ বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস ধরে ফেলে রেখেছে।’
১-৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষার পরও গ্রাহকদের পণ্য বা অর্থ কিছুই ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো ফল মিলছে না। অথচ ‘ডিজিটল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকদের পণ্য বা অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা।’ তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭.১৮ কোটি টাকা। গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ ২১৩.৯৪ কোটি টাকা এবং মার্চেন্টদের কাছ থেকে ১৮৯.৮৫ কোটি টাকার পণ্য বাকিতে গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৩.৮০ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৬৫.১৭ কোটি টাকা। বাকি অর্থ কোথায় তার কোনো হদিস নেই।