পরবর্তীতে সৌদি প্রবাসি ওলিয়ারের স্ত্রীর মাধ্যমে ওলিয়ারের ফোনে মুর্শিদা রিং করিয়ে তার স্বা’মীর অবস্থান সম্প’র্কে জানতে চায়। তখন তাদের কর্মস্থল থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে মরুভূমির মধ্যে একটি ঘরে আব্দুর রহমানের ঝু’লান্ত লা’শ দেখতে পায়।
আব্দুর রহমান গাজী বৃহস্পতিবার আ’ত্মহ’ত্যার দিন সকালে স্বজনদের অনেকের সাথে মোবাইলে তার পারিবারিক ক’ষ্টের কথা জানায়। এমনকি সৌদি আরবে সহকর্মীদেরও পারিবারিক ক’ষ্ট আর য’ন্ত্রণায় আ’ত্মহ’ত্যা করবে বলেও জানায়।
আব্দুর রহমানের সৎ মা রহিমা বেগম আরো জানায়, আ’ত্মহ’ত্যার আগের দিন রাত সাড়ে ১১টায় আমাকে ফোন দিয়ে রহমান মুর্শিদার ঘরে যেতে বলে। আব্দুর রহমান আমাকে বলেছিল ঘরে লোক ঢুকেছে, আমাকে সে ভিডিও কলের মাধ্যমে লোকটাকে দেখিয়েছে। তখন আমি বউমাকে ডাকলে দরজা না খোলায় আমি ফিরে আসি।
আ’ত্মহ’ত্যার আগে মুর্শিদার প’রকীয়া বি’ষয় নিয়ে আব্দুর রহমান তার বোন সালমা, ভাগ্নি সোনিয়া পপিসহ অনেকের সাথে কথা বলেন। ভাষ্যমতে আব্দুর রহমান অতি ক’ষ্টে তাদের জানায়; আমার সু’খ নেই। সবই আমার কপাল। আমি মুর্শিদাকে ফেসবুক আইডি ব’ন্ধ করতে বলেছি কিন্তু সে বলেছে এটা সম্ভব না। সে নাকি কিবরিয়াকে বিয়ে করেছে। এ সমস্ত কথা আমাকে বলছে।
কর্মস্থলে সহকর্মীরা আব্দুর রহমানের অবস্থান না থাকায় তাকে খুঁ’জতে থাকে। একপর্যায়ে মরুভূমির মাঝে একটি ঘরে ঝু’লান্ত অবস্থায় আব্দুর রহমানের লা’শ উ’দ্ধার করেন প্রবাসী চাচাতো ভাই এম’দাদুল হক ও ওলিয়ার রহমান। লা’শ স্থানান্তর করার অ’পরাধে তাদের ২ জনকে আ’টক করে সৌদি পু’লিশ।
লা’শ নামানোর সময় তারা আব্দুর রহমানের মোবাইল সেটটি আ’ত্মহ’ত্যা করা ঘরের চালে স্থাপন করা ছিল। ধারণামতে আ’ত্মহ’ত্যার দৃশ্য তার স্ত্রী’কে প্রদর্শন করছিল। এদিকে আব্দুর রহমানের লা’শ ফেরত আনার ব্যাপারে তার বড় ছেলে ও চাচাতো ভাইয়েরা প্রচে’ষ্টা চা’লিয়ে যাচ্ছে বলে পারিবারিক সূত্র জানায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আব্দুর রহমানের আ’ত্মহ’ত্যার নেপথ্য কা’হিনী উদঘা’টন ও ৩ স’ন্তানের ভবি’ষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আন্দুলিয়া গ্রামের ঐ বাড়িতে শো’কাহত পরিবেশে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এক আলোচনায় বসেন। বৈঠকে মুর্শিদা সুলতানা তার প’রকীয়া প্রেমের উপাখ্যান অ’কপটে স্বীকার করেন এবং আব্দুর রহমানের ৩ স’ন্তানের ভবি’ষ্যতের জন্য নিজের নামের বসবাসের ভিটে তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার ঘোষণা দেয় এবং মুর্শিদা শেষমেশ তার প’রকীয়া প্রে’মিক কিবরিয়ার ঘরে উঠিয়ে দেয়ার জন্য তাদের কাছে দা’বি জানান।
বৈঠকে উপস্থিত স্থানীয়দের নিকট মুর্শিদা সুলতানা জানায়, আব্দুর রহমান বিভিন্ন সময়ে কিবরিয়ার স্ত্রীর মোবাইলে ম্যাসেস দিত। তখন আমি আমার স্বা’মীকে বলেছিলাম আমিও কিবরিয়ার সাথে প’রকীয়া প্রেম করবো। কিন্তু মুর্শিদা বৈঠকে তার কোন প্র’মাণ দেখাতে পারেননি। যা এলাকাবাসী অ’যৌক্তিক ও ভিত্তিহী’ন বলে দা’বি করেন।
সৌদি প্রবাসি শফিকুল ই’সলাম তার ফেসবুকে বি’চার দা’বি করে বলেন, শাহপুর বাজারের দোকানদার শাহ বিএম কিবরিয়ার সাথে রহমান ভাইয়ের বউ খা’রাপ থাকায় রহমান ভাই গ’লায় রশি দিয়ে মা’রা গেলেন। আমরা এর বি’চার চাই।
আরও পরুন-
অদ্ভুত এক বিয়ের প্রত্যক্ষদর্শী হলো ভা’রতের অন্ধ্রপ্রদেশের উপ্পরহল গ্রাম। পাত্রীর বয়স ঠিক থাকলেও পাত্রের বয়স একেবারেই কম। মাত্র ১৩ বছর বয়সী পাত্রের সঙ্গে ১০ বছরের বড় পাত্রীর বিয়ে দেয় পরিবার। আর তা করা হয় তাদের মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে।ধুমধাম করেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু কেন হলো এমন অসম বিয়ে? বিষয়টি অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৩ বছরের কি’শোরের মা তার ম’দ্যপ বাবার অ’ত্যাচারে অ’তিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন। সংসার কী’ভাবে চলবে ভেবে না পেয়ে বড় ছে’লের বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই মতই বেঙ্গালুরুর একটি পরিবারের স’ঙ্গে কথা বলেন তিনি। মে’য়ের পরিবারও রাজি হয়ে যায় বিয়েতে।