এক বছর বয়সী এক শিশুকে একটা ক্ষিপ্ত বিষাক্ত সাপের তাড়া করার হাড়হিম করা ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, বাড়ির সামনে বসে খেলছিল এক বছর বয়সী শিশু। পাশেই দাঁড়িয়ে শিশুটির খেলা দেখছিলেন তার দাদা। একটু দূরেই বসে মোবাইলে কাজ করছিলেন শিশুটির বাবা। এমন সময় শিশুটির দাদা লম্বা সাপটিকে দেখতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন। কিছুদিন আগেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি দ্রুতগতিতে চলাফেরা করতে পারেন না। তাই তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করেন।]
কিছুক্ষণেই মধ্যেই শিশুটির বাবা দৌঁড়ে এসে শিশুকে কোলে নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে যান।সাপটি দরজা বন্ধ করার আগেই যদি চলে আসে, এই ভয়ে শিশুটির দাদা লাঠি হাতে নিয়েছিলেন। তবে সাপটি তাদের কাছে পৌঁছানোর আগেই তারা বাড়ির কাঁচের দরজা বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সাপটি যেন তাদের ধরার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল। পুরোটা সময় অত্যন্ত ক্ষিপ্ত গতিতে বাড়ির সামনে রাখা খেলনা আর অন্যান্য জিনিসপত্রের মধ্য দিয়ে তাদের অনুসরণ করছিল। বন্ধ দরজা দিয়েও সাপটি ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু দরজার নিচে যথেষ্ট ফাঁকা না থাকায় বাইরে সাপটি ক্ষিপ্ত হয়ে অন্যদিকে ঢোকার পথ খুঁজতে থাকে। পরে যেদিক দিয়ে এসেছিল সেদিকে চলে যায়।
ভিয়েতনামের সোস ট্রাঙ প্রদেশে ১৪ জুলাই এই ঘটনা ঘটে বলে জিনিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ভিডিওটি এরই ইউটিউবে ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ দেখেছে। অনেকেই সাপটির দুর্দান্ত গতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হৃ’দয়স্প’র্শী’ এমনই দৃশ্য দেখা গেছে মৌ’লভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ হা’সপাতালের চি’কিৎসক-নার্সদের অবহে’লাতেই মা’রা যান ২৪ বছর ব’য়সী সুমি বেগম।
মা হা’রা হয় দু’ধের শি’শুটি। সুমি মৌলভীবাজার সদর উপজে’লার খলিলপুর ইউনিয়নের স’রকারবাজার এলাকার এমরান মিয়ার স্ত্রী ও মন্নান মিয়ার মে’য়ে। তার বাবার বাড়ি কমলগঞ্জ উপজে’লার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে।
স্বজনরা জানান, বুধবার দুপুরে সুমির পে’ট’ব্য’থা দেখা দেয়। পরে তাকে কমলগঞ্জ উপজে’লা স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্বজনরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে কিছু পরীক্ষা-নিরী’ক্ষা শেষে তাকে হা’সপাতালের সাধারণ ম’হিলা ওয়ার্ডে রাখেন না’র্সরা।
তবে তার অবস্থা আশ’ঙ্কাজ’নক ছিল। মে’য়ের এমন অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার নিতে চিকিৎসক-নার্সদের কাছে তা’গিদ দেন সুমির মা রাহেনা বেগম ও বাবা মন্নান মিয়া। কিন্তু তাদের কথা কানে নেননি তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আরো অ’ব’ন’তি হলে সুমিকে ই’ন’জে’কশন পু’শ করেন সিনিয়র নার্স অনিতা সিনহা ও মিডওয়াইফ রত্না মণ্ডল। এরপর থেকেই সুমির ন’ড়া’চ’ড়া ব’ন্ধ হয়ে যায়। বি’ষয়টি ডিউটি ডাক্তার মুন্না সিনহা ও নার্সদের জানানো হয়।