২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের শয্যায় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কাতরাচ্ছেন মো. আজিমুল। ঠিক কতদিনে সুস্থ হবেন কিংবা আদৌ কতটা সুস্থ হবেন সেটা নিয়ে শঙ্কা তিনি ও পরিবারের সদস্যদের। আজিমুলের কিডনি থেকে পাথর সরানো হয়েছিল।
অভিযোগ উঠেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বামপাশের বদলে প্রথমে ডান পাশ কেটে অস্ত্রোপচার কাজ শুরু করেন। ভুল বুঝতে আবার আজিমুলের বাম পাশ কেটে পাথর বের করা হয়। আর এমন ভুল চিকিৎসার কারণেই আজিমুল এখনো সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন।
আজিমুল খান (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গাল গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল রোডের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ডা. শফিকুল ইসলামকে দেখান। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বাম কিডনীতে পাথর রয়েছে বলে জানানো হয়। বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করার মতো আর্থিক সামর্থ দিনমজুর আজিমুলের নেই বলে সরকারি হাসপাতালে করানো অনুরোধ করেন। গত ১৯ জুন আজিমুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল ভর্তি হলে ২৭ জুন অস্ত্রোপচারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেদিন অস্ত্রোপচারের সময় বাম পাশের বদলে ডান পাশ কেটে ফেলা হয়।
আজিমুল জানান, অস্ত্রোপচারের সময় তিনি দুই পাশ কেটে ফেলার বিষয়টি টের পান। বিষয়টি তিনি স্বজনদেরকে জানান। পরে স্বজনরা দুই পাশে কাটা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জানতে পারেন এটা ভুলে করা হয়েছে।
আজিমুলের স্ত্রী খালেদা জানান, ওই দিন সকাল আটটায় অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যাওয়ার পর কয়েক ঘন্টা পেরুলেও না বের হওয়া সন্দেহ হয়। আজিমুল মারা গেছেন এমনটাই তারা ভেবে বসেন। বেলা ১টার পর অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে তাকে বের করে আনা হয়। দুই পাশ কাটার বিষয়টি আজিমুলের মাধ্যমে বুঝতে পেরে চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এটিকে দুর্ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন। এ অবস্থায় আজিমুল এখনো সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। তার হাঁটাচলায় এখানো সমস্যা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে চিকিৎসক মো. শফিকুল ইসলামের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকবার কল করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নি। এমনকি এ প্রতিবেদক নিজের পরিচয় দিয়ে বিষয়টি জানতে চেয়ে এসএমএস পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাননি।
তবে এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট (তত্ত্বাবধায়ক) ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান সাংবাদিকদেরকে জানান, এমন একটি ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে কাগজপত্র না দেখে কিংবা বিস্তারিত না জেনে কিছু বলতে পারবেন না।
ইউরো-২০২০ আসরের চার সেমি ফাইনালিস্ট দলে অন্তত একজন করে প্রতিনিধি রয়েছে চেলসির। কোপা আমেরিকার আসন্ন ফাইনালেও তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকছে। কারণ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনালে ব্রাজিল দলের নেতৃত্বই দিতে যাচ্ছেন চেলসি অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা।
ফলে এবারের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন ট্রফি যারাই জিতুক তার অংশিদারিত্ব যে চেলসি পাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহই আর থাকছে না। কিন্তু থিয়াগো সিলভা যদি দক্ষিণ আমেরিকার প্রাচীনতম টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলতে পারেন তাহলে তিনি চেলসিকে সাউথ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নদের হোম বলে উল্লেখ করতে পারবেন