Breaking News

সম্পদের বেশিরভাগই দান করবেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস

ই-কমার্স জায়াণ্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোস তার সম্পদের বেশিরভাগই দান করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন জেফ বেজোস বলেছেন, তিনি জীবদ্দশায় তার ১২৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ দান করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

 

ব্যবসায়ী নিউজ নেটওয়ার্ক সিএনএনকে বলেছেন, তিনি তার সম্পদ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং বৈষম্য কমাতে দান করবেন। দাতব্য কাজে সম্পদ উত্সর্গ করার প্রতিশ্রুতি না দেওয়ার জন্য বেজোস এর আগে সমালোচিত হয়েছেন। বিনিয়োগকারী ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি স্কট প্রত্যেকেই তাদের সম্পদ দান করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

 

বেজোস দাতব্য কাজে ব্যবহার করার জন্য মার্কিন সঙ্গীত তারকা এবং সমাজসেবী ডলি পার্টনকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দান করার পরে তার এই পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। জীবদ্দশায় নিজের সম্পদের বেশিরভাগই দান করে দিতে চান কিনা- সিএনএন একথা জানতে চাইলে বেজোস চ্যানেলটিকে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সেরকমই ইচ্ছা করি। ’ দানের অর্থ কীভাবে বিতরণ করবেন সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিতে অস্বীকার করেছেন বেজোস। তবে তিনি বলেন: ‘কীভাবে এটি ভালোভাবে করা যায় সেটা ঠিক করাই আসল কাজ। ’

 

বেজোস জানান, তিনি এবং তার সঙ্গিনী লরেন সানচেজ এখন ওই অর্থ যাতে দান করে দেওয়া যায় তার সক্ষমতা তৈরি করছেন। শত কোটিপতি জেফ বেজোস তার প্রতিষ্ঠিত ‘বেজোস আর্থ ফান্ডে’ ১০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ২০২০ সালে তিনি এ তহবিল চালু করেছিলেন।

 

বেজোস এবং অন্যান্য কয়েকজন উদ্যোক্তা পৃথিবীর সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে মহাকাশ ভ্রমণে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করার জন্য সমালোচিত হওয়ার পর ওই তহবিলের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে অ্যামাজন অতীতে প্রতিষ্ঠান হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে নিজের রেকর্ড নিয়ে কর্মীদের সমালোচনার শিকার হয়েছিল।

 

জেফ বেজোস ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত খুচরা পণ্য বিক্রির অনলাইন প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের সুবাদে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। তিনি ২০২১ সালে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহীর পদ ছেড়ে দেন। তবে এখনো এর বোর্ডের চেয়ারম্যান রয়ে গেছেন। এছাড়াও তিনি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা এবং মহাকাশ পর্যটন কোম্পানি ব্লু অরিজিনের মালিক। সূত্র: বিবিসি

About admin

Check Also

৩ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ-ভারত ফ্লাইট চালু

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির আওতায় আগামী শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে ফ্লাইট আবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *