স’রকারি চাকরিজীবীর ৭ লাখ টাকা যেভাবে হাতিয়ে নিলেন তামান্নাতামান্না আক্তার। ব’য়স ২৭ বছর। ১১ বছর আগে জামালপুরের ফারুক হোসেনের স’ঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দশ বছর ব’য়সী এক ছেলে রয়েছে।
তারপরও তামান্না অবিবা’হিতা, সম্ভ্রান্ত পরিবারের পাত্রী সেজে এখন পর্যন্ত এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তির কাছ থেকে বিয়ে করে বিদেশ নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার এই প্র’তারণার কথা জানেন না স্বা’মী ফারুক এবং একমাত্র ছেলে।
সর্বশেষ একজন স’রকারি উচ্চপদস্থ চাকরিজীবীর স’ঙ্গে প্র’তারণা করে ৭ লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নেয়। পু’লিশের অ’পরাধ ত’দন্ত বিভাগ-সিআইডির কাছে তার বি’রুদ্ধে অসংখ্য ভু’ক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্র’তারণার শি’কার ব্যক্তিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সিআইডি ভুয়া পাত্র দেখার ফাঁদ পেতে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে গ্রে’প্তার করে।সিআইডি সূত্র জানায়, তামান্নার গ্রামের বাড়ি জামালপুর।
যদিও প্রথমে সে তার বাড়ি সম্প’র্কে ভু’ল ঠিকানা হিসেবে কিশোরগঞ্জ জানায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তার স্বা’মী রাজধানীর একটি বেস’রকারি ও’ষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। স্বা’মী এবং ছেলেকে নিয়ে রামপুরা ব্লক-ই ভাড়া বাসায় থাকেন।
অর্থের লোভে স্বা’মীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তামান্না প্রায় এক বছর আগে চ’ক্রের মূ’ল হোতা সাদিয়া জান্নাতের স’ঙ্গে অ’পকর্মে যোগ দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তামান্না খুব ধূর্ত প্রকৃতির। এক বছর আগে পার্কে হাঁটতে গিয়ে সাদিয়ার স’ঙ্গে তার পরিচয় হয়।
এরপর তারা নিজেদের স’ঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে এক সময় সাদিয়ার চ’ক্রে যোগ দেয় তামান্না।সূত্র জানায়, পাত্রের চা’হিদা অনুযায়ী তামান্না নিজেকে সেভাবে উপস্থাপন করতেন। প্রায় ৬ মাস আগে একজন স’রকারি চাকরিজীবীর স’ঙ্গে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়।
এরপর তারা প্রায়ই রেস্টুরেন্টে দেখা করতেন। দীর্ঘ সময় ধরে চলতো তাদের ফোনালাপ। পরবর্তীতে ইউরোপে নেয়ার কথা বলে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক দফায় প্রায় ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তামান্না
চ’ক্রের মূ’ল হোতা সাদিয়া সর্বপ্রথম ওই পাত্রের কাছে নিজেকে পাত্রী হিসেবে উপস্থাপন করেন। সাদিয়ার চলন-বলন অতিরিক্ত আধুনিক হওয়ায় প্র’তারণার শি’কার ব্যক্তি তাকে অপছন্দ করেন। পরবর্তীতে সে কি ধরনের পাত্রী চায় জানতে পেরে তামান্নাকে সেই কাঙ্ক্ষিত পাত্রী সাজিয়ে উপস্থাপন করা হয়।
সূত্র জানায়, গত ১৭ই সেপ্টেম্বর চ’ক্রের মূ’ল হোতা সাদিয়া জান্নাত ও তার স্বা’মী এনামুল হাসানকে গ্রে’প্তারের খবরটি গণমাধ্যমে দেখতে পেয়ে সিআইডির স’ঙ্গে যোগাযোগ করেন ভু’ক্তভোগী ব্যক্তি।
এখন পর্যন্ত এক ডজন ব্যক্তি তামান্নার বি’রুদ্ধে প্র’তারণার অভিযোগ করেছেন। তারা মূ’লত পত্রিকার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিয়ে করে বিদেশ নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসা’ৎ করতেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি সিআইডির একটি টিম এক ব্যক্তিকে মিথ্যা পাত্র সাজিয়ে তামান্নার স’ঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় সে একইভাবে পাত্রের স’ঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। পরবর্তীতে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে পাত্রের স’ঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে গ্রে’প্তার করে সিআইডি।
সিআইডির ঢাকা মেট্রো পশ্চিমের এসএস (স্পেশাল সুপারনেটওয়ার্ক পু’লিশ) শামসুন্নাহার বলেন, গত রোববার রাতে অ’ভিযান চা’লিয়ে তাকে গ্রে’প্তার করা হয়। প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে প্র’তারণার বি’ষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। পরবর্তীতে তার রি’মান্ডের আবেদন করলে একদিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন আ’দালত। রি’মান্ডে জি’জ্ঞাসাবাদে তার স’ঙ্গে আরো কেউ যুক্ত আছে কি-না সে বি’ষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।