আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সুপ্রিম কোর্টের সেপ্টেম্বরের অবকাশকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তবে অক্টোবরের ছুটি বহাল রাখা হয়েছে। ফলে পহেলা অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি বহাল রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ছুটি বাতিলের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের স্বাক্ষরে রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২৮ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় বিচারপতিগণ সুপ্রিম কোর্টের ২০২১ সালের বর্ষপঞ্জির সেপ্টেম্বর মাসের পূর্বনির্ধারিত অবকাশকালীন ছুটি ভোগ না করে বিচারকার্য পরিচালনা করবেন মর্মে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এমতাবস্থায়, সুপ্রিম কোর্টের ২০২১ সালের বর্ষপঞ্জির সেপ্টেম্বর মাসের পূর্বনির্ধারিত অবকাশকালীন ছুটি বাতিল করা হলো।’
সুপ্রিম কোর্টের চলতি বছরের পূর্বনির্ধারিত বর্ষপঞ্জিতে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত টানা অবকাশকালীন ছুটি নির্ধারিত ছিল। তবে সাপ্তাহিক ছুটি মিলে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ছিল। ২০ অক্টোবর আদালত খোলার সিডিউল ছিল। তবে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন সুপ্রিম কোর্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ২০২১ সালের বাকী দিনগুলোর সকল অবকাশকালীন/ঐচ্ছিক ছুটি বাতিল ও পরবর্তী বছরগুলোতে ছুটি কমিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়ে স¤প্রতি প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন দেয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। এরই ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বর মাসের পূর্বনির্ধারিত অবকাশকালীন ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হলো।
aro porun:
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ট্রলারডুবির ঘটনায় মন্দিরার মা অঞ্জনা বিশ্বাস (৩০) ও আড়াই বছর বয়সি বোন ত্রিদিবা বিশ্বাস মারা যায়। তবে সাঁতরে তীরে উঠে বেঁচে গেছে মন্দিরার বড় ভাই সৌরভ বিশ্বাস (১৭)।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস তার দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তার প্রবাসী ভাই হরিপদ বিশ্বাসকে দেখতে বাবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণ ঘাটে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে লইসকার বিলের মনিপুর এলাকায় বালু বোঝাই ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কায় তাদের ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারের ভেতরের অংশে থাকা অঞ্জলি মেয়ে মন্দিরাকে নৌকার ফাঁক দিয়ে বালু বোঝাই ট্রলারে থাকা লোকদের হাতে তুলে দেন। মন্দিরাকে বের করে দিতে পারলেও অঞ্জলি ও তার আড়াই বছরের কন্যা ত্রিদিবা বিশ্বাস ট্রলার থেকে বের হতে পারেননি।
পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, মন্দিরার মনে এখন কি যেন একটা ভয় কাজ করছে। সে খুব একটা কথা বলতে চাইছে না। মায়ের জন্য কান্নাকাটি করছে। এটা সেটা বুঝিয়ে তাকে রাখা হচ্ছে। মন্দিরা এখনো জানে না তার মা আর বেঁচে নেই।