সকালে শিশির ভেজা একরাশ রক্তিম গোলাপের পাপড়িতে লিখে দিলাম মনের গহিনে জমে থাকা অব্যক্ত কথামালা। ভালোবাসা কী তা হয়তো কখনো কান পেতে শোনা হয়নি মনের দরজার, তবে তোমার ঠোঁটের কার্ণিশে লেগে থাকা হাসিটুকু আমার বেঁচে থাকার খোরাক। আমার তরে এটাই ভালোবাসা। নির্মল আকাশের বিশালতায় ভেসে বেড়ানো এক খন্ড উড়ো মেঘের মত আমিও নিরলস ছুটে চলি তোমার আঙ্গিনায়। আমি তো ভালোবাসতে চাইনি! মিথ্যে মায়ার জলাঞ্জলে নিজেকে আবৃত করতেও চাইনি। গুটিয়ে রেখেছিলাম অগনিত অতীত বসন্ত বালিকার হলদে শাড়ীর আঁচল থেকে। বসন্ত বরণে সবাই কী হলদে শাড়ীতে সাঁজায় দেহের গড়ণ? নাহ! সবাই তো সাঁজে না। সবাই সাঁজতেও চায়না। একটা কালো টিপ কিংবা সাদা কালো শাড়ীতে বারান্দায় বসে কাটিয়ে দেয় বসন্ত বিকেল। সন্ধ্যার আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো সুখ তারার সাথে গল্প করেই স্মৃতি হয়ে থাকত আমার বসন্ত। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পরাজয় মেনে নিয়েছি তোমার হাসির আদলে। নির্বাক চোখে তাকিয়ে দেখি চিবুক জুড়ে তোমার হাসির আল্পনা। শুধু তোমার মুখ হাসে না যেন সর্বাঙ্গ ভরিয়া হাসে। পূর্ণতার অমর অলক ছুঁয়ে থাকা মায়াবতীর একফালি হাসি। যেন সহস্র নক্ষত্রভেদী আলোক গুচ্ছো ছুটে চলে দীগন্ত পানে। যেখানে জড়ো হয়ে আছে অসীম প্লাবনে ধেয়ে আসা রাশি রাশি ভালোবাসার সুপ্ততা। একমুঠো জোৎস্নার স্নিগ্ধতা তোমার চুলের খোঁপায় বেঁধে দিলাম। একরাশ শুভ্রকেশ আমায় ছুঁতে দিও। আগন্তুক বসন্তের অনাবিল উচ্ছালতায় হলদে শাড়ীতে সাঁজিয়ে নিও দেহের গড়ণ