জানা যায়, এসআই জহির উদ্দিন দীর্ঘ ১৯ বছরের চাকরিজীবনে প্রতি মাসে সংসারের খরচ শেষে পবিত্র হজের জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রাখতেন। জমাতে জমাতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা হয়। চলমান করোনায় অভাবগ্রস্তদের কষ্ট দেখে তিনি সে টাকা তাদের মাঝে দান করার সিদ্ধান্ত নেন।
তার আগের কর্মস্থল রামগঞ্জ উপজেলা এবং নিজ জন্মস্থান নোয়াখালী জেলার কবিরহাট ও বর্তমান কর্মস্থল রাঙ্গামাটিতে করোনা পজিটিভ রোগীসহ ২৫০টি দুঃস্থ পরিবারের মাঝে দুই লক্ষ টাকার খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এছাড়া তিনি রামগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে নিজের বেতনের কিছু টাকার সাথে বিত্তবানদের কাছ থেকে আরও কিছু সহযোগিতা নিয়ে একাধিক পঙ্গু ও অসহায় মানুষের চিকিৎসা শেষে ঘর নির্মাণ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে দিয়েছেন। নানাভাবে সাহায্য করেছেন অসহায়দের। যার জন্য রামগঞ্জে মানবতার ফেরিওয়ালা নামেও ডাকা হয় এই পুলিশ কর্মকর্তাকে।
এসআই জহির উদ্দীন বলেন, টাকাগুলো হজের জন্য সঞ্চয় করেছিলাম। ভেবেছিলাম পরিবার নিয়ে হজ করব। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রর্দুভাবে চোখের সামনে কর্মহীন অসহায় মানুষজন যেভাবে কষ্ট পাচ্ছে, তা কিছুতেই সহ্য হচ্ছিল না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম টাকাগুলো দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াই। এতে মানুষগুলোর কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হবে।
তিনি বলেন, হজ্জের টাকা অসহায় মানুষদের জন্য ব্যয় করেছি। আল্লাহ খুশি থাকলে আগামীতে তিনিই আমার ও আমার পরিবারের হজ্জের ব্যবস্থা করে দিবেন।
সর্বশেষ ওই বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, পাত্রকে টাকাপয়সার কোনও অ’ভা’ব দেয়া হবেনা।
চিকিৎসকের একথায় চমকে যান মলি। কারণ তার কোনো দিন সন্তান হয়নি। তখন চিকিৎসকরা বলেন, এটা তার যমজ বোনের সন্তান হওয়া স্বাভাবিক। চিকিৎসকের এমন কথায় বাচ্চা মেয়েটির পরিবারের খোঁজ নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করেন মলি।
দুজন দুজনকে ম্যাসেজ করেন এবং ছবি পাঠান। দুজনের চেহারায় যথেষ্ট মিল খুঁজে পান দুই বোন। পরে তারা নিজেদের ৩৬ তম জন্মদিনে দেখা করার পরিকল্পনা করেন তারা। দুই বোনের প্রথম দেখার সেই দিনটি তাদের কাছে ছিল স্মরণীয় একটি মুহূর্ত। এমিলি বলেন, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের মুহূর্ত।
৩৬ বছর ধরে আমি আমার যমজ বোনের থেকে আলাদা থেকেছি।
তবে একই সাথে, তাকে ফিরে পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ এবং উচ্ছ্বসিত। দুই বোনের কেউই জানেন না কেন তাদেরকে আলাদা করা হয়েছিল। আগামীকে দুই বোন নিজেদের শেকড় খুঁজতে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান।